ঢাকা, বুধবার, ১ মে ২০১৩, ১৮ বৈশাখ ১৪২০,৩২তম সংখ্যা।



আজ মুক্তডানার শুভ জন্মদিন,
 সকল পাঠক ও শুভনধ্যায়ীদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা !

To Muktodana



বাতাসে লাশের গন্ধ! গোটা দেশটা শোকে সত্মব্ধ রক্তে মাখামাখি চতুর্দিকে লাশ আর লাশ! হাজারো আহত শ্রমিকের আর্তনাদ কারো পা নেই; কারো বা হাত স্বজনদের আহাজারিতে গোটা দেশের ১৬ কোটি মানুষেরচোখ ভিজে আছে এসবের মাঝেই বরাবরের মতো ফিরে এলো মে দিবস

দেশের এমন শোকাহত  সময়েই আজ মহান মে দিবস পালিত হচ্ছে। এই দিনটি শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠার দিন। দিনটি আনত্মর্জাতিক শ্রমিক দিবস নামেও পরিচিত। শ্রমিকদের ভাই, বোন কিংবা সনত্মান ভাবতে শিখতে হবে এদের প্রতিদিনকার শ্রমের মাত্রা এবং শ্রমের সঠিক মূল্য নির্ধারন করতে হবে ন্যায্য পাওনা বুঝিয়ে দিতে হবে সময়মত সর্বোপরি তাদের জন্য তৈরি করে দিতে হবে নিরাপদ কর্মস্থ্যল যেখানে অনত্মত তাজিন ফ্যাসন কিংবা সাভারের রানা প্লাজার মত শ্রমিদের জীবন দিতে হবে না আর এটাই এবারেরর মে দিবসে আমাদের প্রত্যাশা

 
৩২ তম সংখ্যায় আছে মোট ১৫টি কবিতা, লিখেছেন- এম আর ফারজানা,মৌ দাশগুপ্তা,রেজওয়ান তানিম,নীল আলো,সরদার ফারুক,ইন্দ্রানী সরকার,সায়ক,শৈলেন্দ্র প্রসাদ চৌধুরী মানিক,কবির য়াহমদ,রবি,তামান্না রুবাইয়াত,শেখ সাদী শুভ,শামীম পারভেজ,ইমেল নাঈম এবং রুম্পা শিমুল।

গার্মেন্টস শ্রমিক

 
এম আর ফারজানা

শ্রমিক নিষ্পেষিত রক্ত হাতে
মালিক নির্দোষ ক্ষতি খুব তাতে।
ফাঁদপাতা দেখি মৃত্যুর কারবার
অবাক আমি অবাক বার বার ।।
বৈষম্যের মাত্রা কাজের মাঝে
সুযোগ বুঝে মালিক প্রভু সাজে।
নির্যাতন নিপীড়নের চাবুক পিঠে
পায়না বিচার তবু অবিরাম ছুটে ।।
সমঅধিকার বিজ্ঞাপনের ভাষা
ঝরে ঘাম দুচোখে হতাশা
শ্রমের মুল্য বাড়ে না কভু
নেই প্রতিবাদ লাশ হয় তবু ।।
প্রতিদিন বাঁচার লড়াই
ক্লান্তি বিহীন উদ্দাম ছাড়াই।
ক্রোধ সংবরণের নেই ভীড়
বাস্তবতার আবরণে মাপা নীড় ।।
জমেছে শিশির কনা হবে সমুদ্র
শুনছি ক্রমশ পদধ্বনির শব্দ।
কঠিন সময় পাথরে ঢাকা
শ্রমিক ভাঙ্গবে কালের চাকা ।।

পাখী উড়ে যা

 
মৌ দাশগুপ্তা

পাখী রে, ওই নামে তুই ডাকিস না,
ভালোবাসা ভুলে ঠাসা,
নাম মনে করাস না
খেলার ছলেও, পিছন ফিরে তাকাস না,
স্বপ্ন-সুখে কিম্বা দুখে,
সে নামে আর কাঁদাস না
পাখী রে, আর অবাক চোখে তাকাস না,
একলা ফেলে যে যায় চলে,
তাকে মনে পড়াস না
পাখীরে তুই সত্যি কথা বলিস না,
কাঁদছি মনে, সঙ্গোপনে,
ভুলেও তাকে জানাস না
পাখী রে, আজ ডানা মেলে উড়ে যা,
দূর প্রবাসে, নীল আকাশে
মন-টা নিয়ে উড়ে যা।

হায় হেলেন


রেজওয়ান তানিম

হায় সুন্দরী শ্রেষ্ঠা হেলেন !
যেদিন দেবরাজ হংস বলাকার ছলে,
মিলিত হন লেডার অঙ্কশয়ানে !
সেদিন কি স্লেটের মত কালো মেঘ
গ্রাস করেছিল সমগ্র গ্রীসের আকাশ ভবিষ্যতের
দীর্ঘস্থায়ী শোকে? কে জানত তখন-
তোমার কলুষিত কামতৃষ্ণার বলি হবে,
হাজার হাজার অসি, বর্শা কিংবা বল্লমধারী ?
কে জানত দেবোপম একিলিস,
এজ্যাক্স কিংবা হেক্টরের রক্তে রেঙে উঠবে
তোমার দেহবল্লরী
হেলেন
কলঙ্ক তুমি পৃথিবীর সব ভালবাসার;
সবাই জানে সে কথা তবু কেন
তোমার ব্যভিচারী প্রেমের আরাধনা ?
অন্ধ কবির আজ তৃপ্তি ; চোখ নেই বলে!
তোমার অগ্নিবাণের মতন
প্রবল রূপের তোড়ে ভস্মীভূত হবার থেকে
বেচে থাকা অনেক বড়
সর্বনাশা মেডুসার গহ্বরে গেলে
তবু লাশটুকু পাওয়া যায় তবু,
অবিকল থাকে মৃত্যুপূর্ব মুহূর্তের ছায়া!
কিন্তু তোমার ছলনায় কত লাশ
গুম করে রক্তাভ হল পবিত্র জ্যানথাস
আর স্কামান্দারের জল,
জানা নেই সে পরিসংখ্যান
সেখানে সামান্য কবি আমার
কোথায় হত ঠাই? ভাবনা অবান্তর জানি
তবু শিহরিত হই; স্বস্তি পাই
আবার দু: আসে অন্ধত্ব
কেড়ে নিলো তোমার আগুন খেলা
দেখবার উপায় আমি দুর্ভাগা- ভাগ্যবান
হে রক্তপায়ী জিউস কন্যা, তোমার
নারকীয় বিষবাষ্প আমায়,
স্পর্শ করেনি বলে

অমৃত স্নানে শুদ্ধ হবো


নীল আলো

আমার বলতে কিছু আর নাই
প্রাপ্তি অপ্রাপ্তি দীর্ণ ভ্রান্তি মনে হয়,
আবেগে বুকের তলা ভেঙ্গে খান খান
তবুও ডুবজলে প্রান্তর খুঁজি, কোথায় তুমি?
একখণ্ড মানচিত্র শীতসকালের ওম--
দেখা কি দেবে তুমি ?
ডানা ভাঙ্গা তবু উড়ে বিসর্জনে দগ্ধ হতে চাই
মায়াজাল ফেলেছে নিঝুম রাত্রি,
ছায়াপথ ঘুরে কোথাও ঠাই হলোনা,
তারপরও বিচ্ছেদের চুম্বন অন্তরীণ
হৃদয়ে ঢেউ তোলা রাত্রির নরম নীল জোছনা
তোমায় কাছে পেতে চায়--
আমি সেই মর্ম বিরহ কাঙাল !
চোখে ধরা পড়েনা হৃৎপিণ্ড কতটা পুড়েছে
ঝড়ের রাতের ভৌতিক ঘড়ির শব্দ, এখন আর ভয় পাইনা,
ব্যথার মাঝে বন্দী দেহ - অনুভবে তীব্র অগ্নিশিখা
হাওয়ায় গভীর গর্জন, তবু প্রহরগুলি স্তব্ধ;
আমার মন মগজে শুধু তুমি
এই অনাবাদী জমিতে কোন চাষে ফসল ফলবে ?
সঞ্জীবনী জল কোথায় পাব !
কোন ফুল তুলে প্রিয় মালা গাঁথবো,
দৃষ্টির সীমানা এখনতো জানা নাই
স্রোতের তোরে ভেসে যাওয়া খড়কুটো ধরে বাঁচার তপস্যা,
তুমি কি 'কে জীবন বলো?
হোকনা বেপরোয়া কিছু -ভাঙুক নিয়ম
দেউলিয়া জীবনে সন্যাসধর্ম রয়েছে তো পিছে,
জোর নেই, থাকে যদি হৃদয়ছেড়া ভালবাসা- তবে এসো
দুঃখ গ্লানি অপবাদ গ্রাস করবো নির্বিচারে,
অমৃত স্নানে শুদ্ধ হবো।।

লাস্ট সাপার


সরদার ফারুক

সন্ধ্যা হইলে তিনি সেই বারো জন শিষ্যের সহিত ভোজনে বসিলেন আর তাঁহাদের ভোজন সময়ে কহিলেন , আমি তোমাদিগকে সত্য কহিতেছি ,তোমাদের মধ্যে একজন আমাকে সমর্পণ করিবে
-
মথি(২৬: ১৮-৩৬)
সন্ধ্যার আলোয় তুমি কি বিষণ্ণ ছিলে
পানপাত্র তুলে ধরেছিলে
কম্পমান হাতে ?
প্রভু, আমিই কি সেই?’
বারবার প্রশ্ন করি যিহুদার মত
তোমার শোণিতপানে
আমি তো কেবল খুনি হয়ে উঠি!
যতবার ফিরিয়ে দিয়েছি, রৌপ্যমুদ্রা
বেজে ওঠে প্রাচীন মন্দিরে
রাত নামে জয়তুন পাহাড়ের কোলে

কেন তুমি ফিরে এলে ?



ইন্দ্রানী সরকার

কেন তুমি ফিরে এলে ?
আমি অন্ধকারেই ' মিলিয়ে যেতাম
হঠাত করে এক পশলা বৃষ্টির মত
ঝরে পড়লে আমার আঙিনায় |
বুকের মধ্যে অনেক মেঘ জমেছিল |
কেমন মেঘ বৃষ্টির খেলা চলল !
তারপর আমার মেঘগুলো বৃষ্টির ফোঁটা হয়ে
তোমারি সাথে ঝরে পড়ল আমার উঠোনে |
তোমার চোখে লুকোনো ব্যথা আমার চোখের
জল মুছিয়ে শরতপ্রাতের উজ্জ্বল শিশিরকনার মত
কেমন ঝিকমিক করতে লাগলো !

স্বপ্নের পর


সায়ক

নিজের কিছু নেই আমারতুমি বললে সেটা আমার হয়
আমার সখের ফানুস হাতে হাতে ঘুরে হাতছাড়া হয়,
দু হাত আকাশে উড়িয়ে নাগাল পাই না পড়ার টেবিলের
পায়া বেয়ে ঘুম উঠে আসে, খুঁজে পাই আমার দেশ
দোলনা দুলছি... সাধ থেকে সাধ্য
এখনও কি ছাই থেকে আগুন হয়? এখনও কি বরফেও
জল ঘুমায়? এভাবেই কলম্বাস জন্মায়মরে যায়
আবিষ্কারের স্বপ্নে কলম্বাসের মত একখানা কম্পাস
আমার বুকে হাতে হাতে ঘোরেদেশ ভেবে চরায়
আটকে থাকে বহুকাল একদিন খিধে পেলে
দেখি কম্পাস জলে ভেজাশুকনো দেশের ঝোপেঝাড়ে
ঝুলে আছে পচে যাওয়া ভাত

আর হবে না ফেরা

 
শৈলেন্দ্র প্রসাদ চৌধুরী মানিক

আজ এতটা সময় পরে জানলাম
আর ফেরা হবে না কখনো
মাঠের পরে মাটির ঘরে
যেখানে ছিল রূপ কথার গল্প
সেই যে গেলে কোন যে খানে
আর তো কভু ফিরলে না যে
উদাস হয়ে বসে আছি
যদি ফেরো এই পথে
আজকে একা কাটিয়ে দিলাম
কষ্ট টা কে সুখ ভেবে
এখন কষ্ট যে ভালোই লাগে
সে যে আপন হয়ে আছে
ভালো থেকো সুখে থেকো
জগত আবার আপন হবে
আজ ভাবতে হবে আকাশটাকে
কেমন করে পার '
আবার যদি ফেরো
যদি কখনো খুঁজো
এই পথিকের আর হবে না ফেরা
সময় যে গেছে চলে

রক্ত গঙ্গায় শোক

 
কবির য়াহমদ


রক্তে
লিখা হয় ইতিহাস
আমরা কি তবে রক্তজীবি?
ফি-দিন রক্ত গঙ্গা; অসহ্য শব্দে ভারী চারপাশ
তবু আমরা গা সওয়া, একদিন, দুই দিন; প্রতিদিন!
রক্ত, রক্ত, লাল-লাল রক্ত
ঘামে ভিজে একাকার দেশ
আমাদের রক্তে আমরা ভিজি, আমাদের রক্ত আমরা শুষি
রাষ্ট্রিক শোক দিবসে দায় সারার মাহাত্ম্য আমরাই খুঁজি!

আমার মা


রবি

ঈশ্বর আমায় আর একটু বৃষ্টি করে দাও
যেন ঝড়তে ঝড়তে ঝড়ে পরতে পারি
ছনের ছাউনির ভেতর দিয়ে আমার ঘুমন্ত মায়ের বুকে
অনেক দিনতো হলো মায়ের স্পর্শ ছাড়া ,
বৈকুণ্ঠে নয় ঈশ্বর
আমি আমার মায়ের বুকে চাই শুতে
ঈশ্বর আমায় আর একটু গরিব করে দাও
যেন মাটির বুকে শুয়ে আমি মাটির গন্ধ শুকতে পারি,
যে মাটিতে মিশে আছে আমার মা
যে মাটিতে মা নিজে শুয়ে আমাকে তার বুকে শুয়াতো...

আকাশেরও কি দুঃখ আছে?


তামান্না রুবাইয়াত

বৃষ্টি ভেজা সকাল বলে
এদিক চেয়ে দেখ না
কেমন সুরে আকাশ কাঁদে
একটু দেখে শেখ না
আকাশের আজ মন খারাপ
তাই কি আকাশ কাঁদে
কান্না শেষে আকাশই
রংধনু্র বেশে কি সাঁজে?
মেঘলা আকাশ আপনা মন
কেঁদে চলে অনেকক্ষণ
কি কারনে কাঁদছে তবে
আকাশেরও কি দুঃখ আছে?

সভ্যতার বিষাদ
শেখ সাদী শুভ

তীর্থ ক্ষেত্র আজ নিষ্ক্রিয়
সভ্যতার বিষাদ অনলে পুড়ে স্বয়ং জ্যান্ত প্রভু
মানবতার স্নেহ ভাণ্ডার আজ শোকে করে আর্তনাদ
অস্তিত্ব রক্ষায় নেমেছো কি কভু
হে মহা প্রভু
আজ জাগো জাগো
হে অবিনশ্বর মহান জগদীশ
দূর করো সব জঞ্জাল
সর্ব বিষাদ
না হলে পরাও তব কাফন তোমার নিজ হস্তে
তোমার আপন সত্তাকে জাগ্রত করো
চিরায়ত করে মানবতার মাঝে ।।

মায়া মমতা আর ভালোবাসায়

 
শামীম পারভেজ

পানি নেই, করতে পারিনা গোসল
পলি নেই , ফলাতে পারিনা ফসল
নিতে পারিনা শ্বাস নেই বিশুদ্ধ বায়ু
তাই কমে যাচ্ছে ধীরে ধীরে আয়ু
রবির প্রচন্ড তাপে ঝলসে যাচ্ছে দেহ
রাখে কি দিকে দৃষ্ট, এর খোঁজ কেহ
খাবারে মিশেছে ফরমালিন নামের বিষ
কিযে উঠেছে চুলকানি সারা দেহে ইশ
আর কত কষ্ট পোহাতে হবে জানিনা
আমি ক্যন্সারের রোগি সেতো পিছ ছাড়েনা
কোথায় আমার সবুজ শাড়ি
কোথায় আমার খড়ের বাড়ি
কোথায় আমার গোলা ভরা ধান
কোথায় জারি সারি ভাটিয়ালি গান
কোথায় আমার সোনালী আঁশ পাট
কোথায় বটের ছায়ায় বসানো হাট
কোথায় গেলে ষাড় লাংগল জোয়াল
কে রাখে এখন সবের খেয়াল
হে আমার পেটের সন্তানরা
বুক খালি করে রক্ত ঝরিয়ে গিয়েছিস চলে
আমার সবুজ শাড়িতে লাল রঙ এঁকে
এর ছায়াতলে এখনো বেঁচে আছি একটু সুখের আশায়
আমাকে করে গেছিস স্বাধীন
আমিতো এমনই স্বাধীন
আমার দেহের উপর চলে অত্যাচার
জ্বলে আগুন পুড়ে হয় ছাড়কার
তোদের মনে পড়ে বারবার
আমিতো নই হারবার
যত কষ্ট দুঃখ বেদনা থাকুক
শুধু বেঁচে থাকবো একটি আশায়
তোদের রেখে যাওয়া
মায়া মমতা আর ভালোবাসায়

নস্টালজিক


ইমেল নাঈম

ফেলে আসা কটি বছর এমন দিনে তুমি আমি পাশাপাশি , সমগ্র শহর সাদা চাদরে আবৃত পথে প্রান্তরে মানুষের ভিড় তোমার গালে রঙ তুলির আঁচড় সাদা শাড়ী আর লাল পাড়ে চোখ জ্বলেছিল অসহ্য জ্বলনে অপরূপ রূপে জ্বেলেছিলে হৃদয়ে মঙ্গল প্রদীপে সেই প্রথম পরিচয় সময়টা প্রাণবন্ত উৎসবের সাজে এরপর কেটে গেল পাঁচটি বছর
নগর দোলার মতই ছিল আমাদের প্রেম , কখনো মাটিতে আবার কখনো শূন্যে আমার দেয়া সাদা শাড়ীটির কী খবর ? সে নিশ্চয় ডাগর চোখে তাকায় তোমার দিকে আর মনে করিয়ে দেয় , বৈশাখের স্মৃতিমুখর দিনটিকে আবার বাঁশীতে তোমার ছিল অদ্ভুত দুর্বলতা ভালবাসার প্রথম উপহার ছিল সেটা বাঁশি হাতে সেজেছিলাম প্রেমিক কিছুক্ষণ আবেগী মন জানত না বাঁশি হাতে নিলেই কৃষ্ণ হয় না
যে চোখ মুসাফির হৃদয়ে প্রেমের বাগান সৃষ্টি করেছিল , বুকের মাঝে গড়েছিল স্থাপনা , সেই চোখও ভুল বুঝিয়েছিল নাকি আমি বুঝতে ভুল করেছিলাম অতঃপর ভালবাসার ব্ল্যাংক চেক হাতে খুঁজেই গেলাম এক প্রান্ত হতে অন্য প্রান্তে শুধু তোমায় এক নজর দেখার জন্যে
আর একটি জিজ্ঞাসা: কেমন আছ , কেমন হয়েছে তোমার সংসার ?

মা......মাগো

 
রুম্পা শিমুল

মা...মাগো
এই দেখো আমি ফিরে এসেছি
রানা প্লাজা আমায় গিলে খেতে পারে নি
তবে আমার হাত থেকে হাত টা কেড়ে রেখে দিয়েছে
পা থেকে পা'টা আলেগ করে কেড়ে রেখে দিয়েছে
তোর আচল তলায় একটু ঠাঁই দিবি মা ............?

জননী, হুঙ্কার দিয়ে পাগলিনী বেশে
কান্নার ঝড় উঠিয়ে বিলাপ করে
বলে উঠ্ল......
"
ওরে খোকা,বাপ ধন আমার ,
হাত নিয়েছে ,পা নিয়েছে তাতে কী
তুই তো আছিস,আমার সোনা মানিক "
খোকা নীরবে কেঁদে ভাসায়
"
এই খোকা,পাগল ছেলে আমার"......
"
মাগো আমি তো আজ বড্ড অভিশপ্ত ,বোঝ
তোমার দুয়ারে ...
সব স্ব্প্ন ,সব আশার মুখে
ছাই বেড়ে ,বলি দিয়ে গেলো
হিংস্র দানব রানা প্লাজা "
জননী খোকা কে আচল তলায় জড়িয়ে নিয়ে
কান্নায় বুক ভাসালো আর স্বান্তনা দিলো
তুই তো আছিস খোকা এতেই ঢের...
আদৌ কি খোকা স্বান্তনা খুঁজে ফেলো
জীবনের বাকি দিন গুলোর ???
আদৌ কি খোকা অবলম্বন খুঁজে ফেলো
মায়ের আচল তলায় ?????
ব্যথাতুর বদনে কেবল চেয়ে রইল
খোকা আসন্ন দিন গুলোর পানে
রঙিন সাঁঝের বদলে আসছে
ঘোর কালো অমবস্যা
এই কোন নিয়তির খেলা
প্রশ্ন ঠুকলো বিবকের কাছে ???